ক্ষমতার জোর দেখালে মিলছে পছন্দের বদলি

দাপুটে কর্মকর্তাদের কাছে অসহায় বিআরটিএ

Passenger Voice    |    ১১:৩৬ এএম, ২০২৪-০৫-০২


দাপুটে কর্মকর্তাদের কাছে অসহায় বিআরটিএ

এইচ এম হোসাইন, প্রধান প্রতিবেদকঃ গণপরিবহন সেক্টরের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। এক সময়ে দালালদের আঁতুড়ঘর ছিল সংস্থাটি। তবে বর্তমানে পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছু। দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করে বাহিরের দালাল নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলেও কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমতার দাপট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিআরটিএ। গত বেশ কয়েকমাস ধরে করা বদলি আদেশ গুলো নিয়ে বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করছে এবং কয়েকটি বদলি নিয়ে অনিয়ম হয়েছে বলেও অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবী করেন। আবার অনেকে বলছে যারা ক্ষমতার জোর দেখাতে পারছে তারা পছন্দের সার্কেলে বদলি হচ্ছে।

ঘটনা-০১ঃ ৩০ এপ্রিল বিআরটিএর উপপরিচালক (প্রশাসন) সরদার মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ৭৪০ নং স্বারকের এক আদেশে দেখা যায় ফরিদপুর সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক এনামুল হক ইমন ও রাজশাহী সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক শরফুদ্দিন আকনকে পুনরায় তাদের পছন্দের সার্কেল ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলে বদলি করা হয়েছে। এখই সাথে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক আবু পলাশকে ফরিদপুর সার্কেলে বদলি করেছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদের বিষয়ে কোন কর্মকর্তা প্রশ্ন না তুললেও আবু পলাশের বদলির বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বিআরটিএর সূত্র বলছে ২০২৩ সালের ২ মে প্রথম শ্রেনীর একটি টেলিভিশনে শেরপুর বিআরটিএ ফের দুর্নীতির আখড়া শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এই সার্কেলের তৎকালিন মোটরযান পরিদর্শক আবু পলাশ তার ভাই বিপুল মিয়াকে দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস করানো শর্তে ঘুষ নিচ্ছেন। এবং তিনি নিজেই দাবী করেছেন তাকে সাহায্য করার জন্য তার ভাই বিপুল মিয়াকে বিআরটিএতে রেখেছেন। এই ঘটনায় সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) আবু পলাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবরে পত্র প্রেরণ করলে আবু পলাশকে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে বদলি করা হয়। 

বদলি হয়ে কিছু দিনের মাথায় নতুন পছন্দের সার্কেল অফিসে বদলির জন্য বিআরটিএর প্রশাসন শাখাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে এই কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত ১৯ মার্চ ৪৮৮ নং স্বারক মূলে তাকে বিআরটিএর সিরাজগঞ্জ সার্কেলে বদলি করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই সার্কেলের কাজের পরিধি কম থাকায় এবং ঘুষ বাণিজ্যের উৎস না থাকায় সেখানে যোগদান করেননি তিনি। আবারও তদবির ও ক্ষমতার জোরে বদলি আদেশটি বাতিল করে নেন তিনি। আদেশ বাতিলের ৪০ দিনের মাথায় আবু পলাশ তার পছন্দের সার্কেল ফরিদপুর জেলায় বদলি হয়ে যান। বিআরটিএতে আবু পলাশ ছাড়াও অনেকে ক্ষমতার জোরে বদলি নিচ্ছেন পছন্দের সার্কেলে। 

ঘটনা-০২ঃ ক্ষমতার জোরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় পরে মায়ের পেট ফেটে শিশুর জন্ম হওয়ার ঘটনায় জব্দ সেই ট্রাককেও ফিটনেস সনদ দিয়েছিল বিআরটিএ। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ২০ এবং বিআরটিএ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে জারি করা সরকারি আদেশ অমান্য করে ঢাকা মেট্রো ট-২০-৩৫৮০ নম্বর মোটরযান পরিদর্শন না করেই ফিটনেস সনদ ইস্যু এবং অসদাচরণের অভিযোগে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(১) অনুযায়ী বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ তোয়াহাকে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই সাময়িক বরখাস্ত করে সদর কার্যালয়ে ক্লোজ করেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার । এই কর্মকর্তার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাকে শাস্তি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। শাস্তি ঘোষণা পরে গত ১০ মার্চ ৪২৯ নং স্বারকের আদেশমূলে তাকে বিআরটিএর সিরাজগঞ্জ সার্কেলে বদলি করে কর্তৃপক্ষ তবে পছন্দ না হওয়ায় বিআরটিএর এই আদেশটি মানেননি নুর মোহাম্মদ তোয়াহা। কৌশলে ১৯ মার্চ ৪৮৮ নং স্বারকের আদেশে পূর্বের আদেশ বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এখন তিনিও আবু পলাশের মতো পছন্দের সার্কেলে বদলি নেওয়ার জন্য তদবির চালাচ্ছে। সর্বশেষ গত ০২ এপ্রিল ৫৬৩ নং স্বারকের আদেশে বিআরটিএ পাবনা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক হাফিজুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ সার্কেলে বদলী করা হলে নিরীহ এই কর্মকর্তা সেখানে বদলি নিতে বাধ্য হয়। 

ঘটনা-০৩ঃ ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর বিআরটিএর যশোর সার্কেল নিয়ে এক দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবেদন করেন ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির তালাশ টিম। প্রতিবেদনে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মো. আব্দুল মতিনকে অভিযুক্ত করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে কর্তৃপক্ষ তাকে পিরোজপুর সার্কেলে মোটরযান পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে বদলি করেন। পরবর্তীতে গত ০২ এপ্রিল "‍ক" ক্যাটাগরির সার্কেল চট্টগ্রাম জেলায় বদলি করেন। 

ঘটনা-০৪ঃ গতবছরের ১৫ নভেম্বর ‍‍‍‍"‍বদলি ও পদোন্নতি নিয়ে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের অসন্তোষ"‍ শিরোনামে প্যাসেঞ্জার ভয়েস সংবাদ প্রকাশ করিলে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারী সিনিয়র কর্মকর্তাদের রেখে জুনিয়র কর্মকর্তাদের সহকারী পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া রাজশাহী সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোশারফ হোসাইন ও হবিগঞ্জ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক হাফিজুর রহমান খানের অতিরিক্ত দায়িত্ব বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এর পরে জুনিয়র আর কোন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হবে না মর্মে মৌনসম্মতি দিয়েছিল বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। তবে গত ০৪ মার্চ মৌনসম্মতি ভেঙ্গে ২৫ জন মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট এর পরে মোটরযান পরিদর্শক পদে পদোন্নতির জন্য ২৬ নম্বর সিরিয়ালে থাকা ফাহাদ শিকদারকে চট্টগ্রাম মেট্রো-০১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

ঘটনা-০৫ঃ শফিকুল আলম সরকার, বিআরটিএর দাপুটে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে একটানা মিরপুর বিআরটিএর নিয়ন্ত্রক ছিলেন এই কর্মকর্তা। সার্কেলটির মালিকানা শাখার দায়িত্বে থাকার সময় অনিয়ম দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও গ্রাহক হয়রানীসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠলেও ক্ষমতার দাপটে তার বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। গত ০৭ ফ্রেবুয়ারী ২২৯ নং স্বারকে বিআরটিএর রংপুর সার্কেলে বদলী করা হলেও মালিকানা শাখার এই কর্মকর্তার সিন্ডিকেট নষ্ট করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। মিরপুর বিআরটিএ সার্কেলের মালিকানা শাখার বর্তমান নিয়ন্ত্রক মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মো. রাকিবুল হাসান। মালিকানা পরিবর্তনে ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানী চরমে উঠেছে। বিআরটিএ মিরপুর সার্কেল ও সদর কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তাকে নিয়মিত মাষোহারা দেয় রাকিব, ফলে ক্ষমতার দাপুট চলছে সব সময়। একই সাথে মিরপুর বিআরটিএর সাবেক মোটরযান পরিদর্শক শেখ মো. রাজীবুল ইসলামকে নারায়নগঞ্জ সার্কেল থেকে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এর চলতি দায়িত্ব দিয়ে মালিকানা বদলি শাখায় বদলি করলে দালাল নিয়ন্ত্রণে আরো শক্তিশালী হয় রাকিবুল হাসান। বিআরটিএর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা দাবি করেন কর্তৃপক্ষ যদি এই মোটরযানের মালিকানা বদলিতে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে চায় তাহলে গত ৬ মাসে জমা হওয়া মালিকানা বদলির আবেদনকৃত মালিকদের সাথে নিয়ে প্রকাশ্যে এই শাখার বিষয়ে গণশুনানি করতে পারে। 

ঘটনা-০৬ঃ ২০২০ সালের ১৯ মার্চ বিআরটিএর ভোলা সার্কেলের মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট জিয়াউর রহমানকে এক আদেশে বিআরটিএর মেহেরপুর সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক (অঃ দাঃ) হিসেবে বদলি করা হয়। পরবর্তীতে বিআরটিএর ভোলা সার্কেলে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে। দুর্নীতির তথ্য সঠিক পাওয়ায় বিভাগীয় মামলায় তাকে শাস্তিও প্রদান করা হয়। মোটরযান পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য বর্তমানে ২৭ নম্বর সিরিয়ালে থাকলেও চাকরি জীবনের পুরো সময়টা তিনি মোটরযান পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন। টানা আট বছর দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম দুর্নীতি প্রমাণিত হলেও মোটরযান পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আদেশ বাতিল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ক্ষমতার দাপটে মেহেরপুর জেলায় টানা ৪ বছর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।এই কর্মকর্তার ক্ষমতার কাছেও অসহায় বিআরটিএ। 


ঘটনা-০৭ঃ শ্যালক সাখাওয়াত হোসাইন ও চাচাতো ভাই রাশেদুল ইসলামকে দিয়ে দালালী ও ঘুষ বাণিজ্যের সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন বিআরটিএ রংপুর সার্কেলের সাবেক সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) ফারুক আলম। বিভিন্ন সময়ে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন শাস্তির ব্যবস্থা করেনি। বিআরটিএর বিভিন্ন শ্রেণীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দাবী করেন ফারুক আলম খুব কৌশলী একজন কর্মকর্তা ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও মোটা টাকার জোরে উচ্চ পর্যায়ের তকবিরের মাধ্যমে তার পছন্দের বিআরটিএ কুমিল্লা সার্কেলে গত ০৭ ফেব্রুয়ারী ২২৯ নং স্বারকমূলে বদলি হয়ে যান তিনি। কুমিল্লা সার্কেলে বদলি হয়ে ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেছেন।একই সাথে এই কর্মকর্তাকে বিআরটিএর চাঁদপুর সার্কেলের দায়িত্ব প্রদান করা হলে সেখানে বেশি দিন ঠিকে থাকতে পারেনি। আগামী ০৯ মে চাকরি জীবনের ইতি টানবেন লক্ষীপুর জেলার সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) এনায়েত হোসেন মন্টু। এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে ফারুক আলম আবারও কুমিল্লা সার্কেলের পাশাপাশি চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার দায়িত্ব নিতে মরিয়া হয়ে ঘুরছে। সর্বশেষ মোটরযানের ফিটনেস প্রদানে স্পেশাল এপোয়েন্টমেন্ট প্রদানেও অবৈধ ঘুষ লেনদেন করছেন তিনি। পরবর্তী পর্বে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করবে প্যাসেঞ্জার ভয়েস। 

ঘটনা-০৮ঃ মো. আব্দুর রাজ্জাক বেপারী, রেকর্ড কিপার বিআরটিএর বরিশাল সার্কেল। ২০২২ সালে বরিশাল সার্কেলে ঘটে যাওয়া অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অপরাধ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তি প্রদান করেন। তবে এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই গত ১০ মার্চ ৪২৯ নং স্বারকে বিআরটিএর ক ক্যাটাগরির সিলেট সার্কেলে বদলি করেন তাকে । 

ঘটনা-০৯ঃ গ্রাহকদের কাঙ্খিত সেবা প্রদানে বাধাগ্রস্থ, মোটরযান পরিদর্শন, দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন, প্রতিবেদন প্রেরণসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানে বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লখ করে  ২০২৩ সালের ১৩ আগষ্ট একজন মোটরযান পরিদর্শক পদায়নের জন্য বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) কে এম মাহাবুব কবির। পত্রে তিনি উল্লেখ করেন ২০২৩ সালের ০৪ জুলাই ১৪৩৯ নং স্বারকের আদেশে সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক রামকৃষ্ণ পোদ্দারকে জয়পুরহাট সার্কেলে বদলি করা হলে একই বছরের ২৪ জুলাই খুলনা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে এই সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবরে পত্র প্রেরণের প্রায় ৯ মাস পার হলেও সাইফুল ইসলাম মোটা দাগে তদবির করে এই সার্কেলে কাউকে বদলি হতে দিচ্ছে না। পরবর্তী পর্বে থাকছে ক্ষমতা ও তকবিরের জোরে ঘুরেফিরে মিরপুর-খুলনায় বদলি হয় সাইফুল ইসলাম।